বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার যুগে কুরিয়ার ও ডেলিভারী সার্ভিসের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে প্রয়োজন হচ্ছে বিভিন্ন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সফটওয়্যার।এই ধরনের সফটওয়্যার কি,কিভাবে কাজ করে এবং এর উপকারিতা কি এসব সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানবো।

কুরিয়ার সফটওয়্যারসহজেই পণ্য গ্রাহকের নিকট সরবরাহ করতে এবং পণ্যের বর্তমান অবস্থা ট্র্যাক করার সুবিধা প্রদান করে। একটি ডেলিভারী ও কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করেই গ্রাহকের তথ্য ডাটাবেসের জন্য জিপিএস ট্র্যাকিং ও সঠিক রাউটিং সহ সকল সুবিধা প্রদান করে।

কুরিয়ার ও ডেলিভারী সফটওয়্যার কি: 

যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার পণ্য তাদের কাঙ্ক্ষিত ভোক্তার নিকট পৌঁছে দেয়া হয় তাকে কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বলে। একটি পণ্য পাঠাতে কি ধরনের তথ্য ও উপাত্ত প্রয়োজন হয় সেগুলো ব্যবহার করে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে এই সফটওয়্যার।

ই-কমার্স ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পণ্যও সরবরাহের কাজ সম্পন্ন করা হয় এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে।তবে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় কুরিয়ার বা পরিবহন ব্যবসার ক্ষেত্রে।

ডেলিভারী ও কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর ব্যবহার: 

ডেলিভারী ও কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরবরাহ সংক্রান্ত যাবতীয়

কাজের মাঝে সমন্বয় সাধন করে।এর মাধ্যমে অনেক ধরনের কাজ একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেই সম্পন্ন করা যায়। এতে সময়ও সাশ্রয় হয়।

কুরিয়ার ও ডেলিভারী সফটওয়্যার যেসব কাজ করে থাকে তা হলো:-

  • এটি পরিবহন ব্যবসার সাথে জড়িত অসংখ্য ডেলিভারি ক্রিয়াকলাপকে স্বয়ংক্রিয় করে।
  • ডেলিভারী রুটের প্রতিটি পর্যায়ে প্যাকেজ এবং পার্সেলের অবস্থা ট্র্যাক করে।
  • জিপিএস ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এটি পার্সেল ট্র্যাক করে এর অবস্থানের সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারে।
  • কোন সময়ে কোন পার্সেল পৌঁছাবে তার একটি সময়সূচিও নির্ধারণ করে।
  • প্রত্যেকটা পার্সেলের তথ্যাবলী ও এর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত তথ্য এই সফটওয়্যার প্রদান করতে পারে।
  • বারকোড ব্যবহার করেও এর কার্য পরিচালনা করা হয়।
  • কাস্টমার ডেটাবেস,বিল ও ইনভয়েস সংরক্ষণ ইত্যাদি করার মাধ্যমে ডেলিভারী সার্ভিসকে আরো উন্নত করে।
  • কাস্টমারকে পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে। এছাড়াও তাদের ফোনে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে তাদের পার্সেলের অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয়।
  • এর মাধ্যমে কাস্টমারদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে তাদের কাঙ্ক্ষিত সময়ে পণ্য ডেলিভারি করা হয়।

কুরিয়ার ও ডেলিভারী ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর সুবিধা: 

একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেকোনো কাজই পূর্বের তুলনায় দ্রুত ও সহজে করে ফেলা যায়। তেমনই কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ একটি কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সহজেই সম্পাদন করে দিতে পারে।

এ ধরনের সফটওয়্যার বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে।

  • এটি অর্ডার সম্পর্কিত সকল তথ্য সরবরাহ করার কারণে কোন পার্সেল কখন পৌঁছাবে তার একটি স্বচ্ছ ধারণা জন্মায়‌ ।
  • জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস এর কারণে কোন রুটে চলাচল করলে দ্রুত পার্সেল ডেলিভারী করা যাবে তা নির্ধারণ করা যায়।
  • এটি ব্যবহারে কাস্টমারের সন্তুষ্টির পাশাপাশি অনেক ধরনের খরচও কমানো যায়।
  • সকল তথ্য প্রদান করার কারণে কাস্টমারের সাথে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা তৈরি হয়‌।
  • এটি পার্সেলের ধরন, ওজন ও স্থানভেদে পার্সেলকে আলাদা করে এতে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়।
  • COD পেমেন্ট ক্যালকুলেশন করার মাধ্যমে এটি আর্থিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা প্রদান করে।
  • ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটি খুব সহজেই ব্যবহার করার উপযোগী।
  • মোবাইল এপ এর মাধ্যমেও এই সফটওয়্যার ব‌্যবহার করা যায়।

 

সবশেষে বলা যায়,

একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের জন্য কুরিয়ার ও ডেলিভারী ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এটি স্বচ্ছতার সুবিধা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানকে সুনাম অর্জন করতে সাহায্য করে। তাই নিজের কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সঠিক কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বেছে নেয়া উচিত।